ফুড পয়জনিং হয়েছে?

প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৯ সময়ঃ ৯:৩২ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:৩২ পূর্বাহ্ণ

আমাদের মতো দেশে একটি সাধারণ সমস্যা হল ফুড পয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়া। যেখানে সেখানে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার আগে আমরা একবারও পরিচ্ছন্নতার কথা ভাবি না। আবার এমন অনেকে আছেন এ বিষয়ে ভাবার সুযোগও তারা পান না।

কোন ধরণের খাবার অস্বাস্থ্যকর:

পচা, বাসি, অস্বাস্থ্যকর, জীবাণুযুক্ত খাবার ও পানীয় আহার বা পান করলে ফুড পয়জনিং হতে পারে।

কীভাবে বুঝবেন আপনার ফুড পয়জনিং হয়েছে:

সাধারণত ফুড পয়জনিং হলে পেটে ব্যথা, হজমে সমস্যা, ডায়রিয়া, বমি এবং অনেক ক্ষেত্রে জ্বর হতে পারে।

প্রাকৃতিক উপায়ে যে চিকিৎসা করতে পারেন:

আদা: কুচি আদার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মধু খেলে তা পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
জিরা: পেট খারাপ, পেটে ব্যথার মতো সমস্যায় এক চা-চামচ জিরা গুঁড়া খেলে সুফল পেতে পারেন।
তুলসী: ইনফেকশন সে পেটেরই হোক বা গলার, তা দূর করার জন্যে দারুণ উপযোগী তুলসী পাতা। থেঁতো করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে সুফল পাবেন।
কলা: কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা ফুড পয়জনিং কমাতে সাহায্য করে। একটা কলার সঙ্গে আপেল গ্রেট করে খেলে বা এক গ্লাস বানানা শেক খেলেও উপকার পাওয়া যায়।
আপেল: ডায়রিয়া যে ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয় তার প্রভাব দূর করার পাশাপাশি এসিড কমাতেও সাহায্য করে।
লেবু: যে সব ব্যাকটেরিয়ার জন্যে ফুড পয়জনিং হয়, তার প্রভাব নষ্ট হয়ে যায় লেবুর রসের এসিডিটিতে। একটা গোটা পাতিলেবুর রসের সঙ্গে সামান্য চিনি দিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

একটি কথা বহুল পরিচিত, ‘প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ-ই উত্তম’। তাই খাবারের পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে নিশ্চিত না হয়ে যেকোনো জায়গায় যখন তখন খেতে বসে যাওয়া উচিত নয়। সচেতনতায় পারে আপনাকে সুস্থতা এনে দিতে।

প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G